প্রত্যয় ডেস্ক, কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের ফরিদপুর ইউনিয়নের নলবাইদ পূর্ব পাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে তামিম (৭) গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নৌকা বাইচ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে।
তামিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীতে নৌকা বাইচ দেখতে গিয়ে তামিম নিখোঁজ হয়। পরে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এলাকায় মাইকিং করেন তারা। এরপর বিকালে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীতে তার লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।
এরপর একই দিনে আধাঘন্টার ব্যবধানে বিকাল ৫ টার দিকে কুলিয়ারচর ডুমরাকান্দা টু দাড়িয়াকান্দি সড়কের পাশে ভিটিগাঁও এলাকায় রাস্তার পাশে কচুরিপানার মধ্যে একটি সিংহভাগ পঁচা-গলিত মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এই লাশ দেখে চিনার মতো কোন অবস্থা ছিলো না। এদিকে গত (১৮ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজ হাকিমের পরিবারের দাবি এটা তাদের ছেলের লাশ। তারা লাশের পরনের কাপড় দেখে নিশ্চিত হয় যে, সেটা তাদের ছেলের লাশ। মোঃ হাকিম মিয়া (১৬) কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের মধ্য সালুয়া গ্রামের মোঃ মনির মিয়ার ছেলে। তারা লাশের পরনের কাপড় দেখে নিশ্চিত হয় যে, সেটা তাদের ছেলের লাশ। পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্ট ছাড়া এই লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই।
এর পরদিন একই ইউনিয়নের দড়িগাঁও এলাকার ফেরিওয়ালা শ্যামল মিয়ার দুই বছরের শিশু সন্তান আশরাফুলের লাশ শুক্রবার (২ অক্টোবর) সকাল ৭ টার দিকে বাড়ি সামনের গর্তে থেকে উদ্ধার করা হয়।
আশরাফুলের লাশ উদ্ধার সম্পর্কে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২ অক্টোবর) সকাল ৭ টার দিকে শ্যামল মিয়ার ছেলে আশরাফুল (০২) বাড়ির সমনে গর্তে পড়লে, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.কে.এম সুলতান মাহমুদ তিনটি লাশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুতে দুইটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং অপর লাশ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ ও এই বিষয়ে একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়াধীন।
রিপোর্টঃ আলি হায়দার